1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
চলতি বছরে আখ মাড়াই না হওয়ার আশঙ্কা শ্যামপুর সুগার মিল চালুর প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নেই কার্যক্রম  - Daily Bogra Times
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বগুড়ার শেরপুরে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীদের মাঝে ৪৬ টি গরু বিতরণ ১০ লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে পানি দিচ্ছে বিএমডিএ জয়পুরহাটে নাগরিক সমাজ সংগঠনের ত্রৈ-মাসিক গণতান্ত্রিক সংলাপ বসতবাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে উধাও মহাদেবপুরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ ছাত্র ইউনিয়ন সরকারি আজিজুল হক কলেজ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত সরকারে থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন : যশোরে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ  ৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধীতা এখনও ষড়যন্ত্র করছেন : পাবনায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মশাল প্রজ্জ্বলন করে তিস্তা বাঁচানোর দাবি জয়পুরহাটে হোটেল ও রেস্তোরা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

চলতি বছরে আখ মাড়াই না হওয়ার আশঙ্কা শ্যামপুর সুগার মিল চালুর প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নেই কার্যক্রম 

মোস্তাফিজার রহমানঃ
  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৬ Time View
চলতি বছরে আখ মাড়াই না হওয়ার আশঙ্কা শ্যামপুর সুগার মিল চালুর প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নেই কার্যক্রম 
print news

বদরগঞ্জ রংপুরঃ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শ্যামপুর সুগার মিল চালুর প্রজ্ঞাপন জারি হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে চলতি বছর আখ মাড়াই না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, শ্যামপুর সুগার মিল রংপুরের একমাত্র সরকারি ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। যা’ ১৯৬৫-৬৬ সালে স্থাপন করা হয়। ১৯৬৭সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মিলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়। মিলটি চালুর পর শুধুমাত্র একবারই লাভের মুখ দেখেছিল। বাকী মওসুম গুলোতে লোকসান গুণতে হয়েছে। যার পরিমাণ দেড়শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- মিলের অব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সীমাহীন দুর্নীতি, সময়োপযোগি যন্ত্রপাতি স্থাপন না করাই মিলের লোকসানের অন্যতম কারণ। তবে মিলকে লাভজনক করতে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মচারিরা নানা দাবিতে আন্দোলন করেছেন। এসবের মধ্যে ছিল- মিলে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, আখের মূল্য বৃদ্ধি, বিদেশী চিনির আগ্রাসন বন্ধ, মিল এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি। কিন্তু কর্মচারিদের দাবীতে কোন সরকারই কান দেননি। বরং মিলটিকে লোকসানি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে কখনো বিক্রির পাঁয়তারা করা হয়েছে। কখনোবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে কোন কারণ ছাড়াই মিলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পতিত আওয়ামীলীগ সরকার। এরপর থেকেই মিলটি চালুর জন্য কর্মচারি ও এলাকাবাসী নানাভাবে দাবী জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এলাকার লোকজন ও কর্মচারীরা জোরালো দাবী জানালে গতবছরের ১৫ ডিসেম্বর মিলটি চালুর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তবে মিলটির পক্ষ থেকে এলাকায় পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়- ‘ চিনিকলের আখ মাড়াই স্থগিতের সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার প্রত্যাহার করেছেন এবং পুনরায় মিল চালুর লক্ষ্যে আখ রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পোস্টারিংয়ে আখের মূল্য বেঁধে দেয়া হয়েছে প্রতি কুইন্টাল ৫৮৭-৬০০ টাকা’।

Screenshot 3

সরেজমিন এলাকা পরিদর্শণে কথা হয় আখচাষী ফেডারেশনের সাংগঠণিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে। তিনি বলেন, মিল সচল করতে হলে আখের প্রয়োজন। কিন্তু আখ রোপণ কার্যক্রম মিলের ছাপানো পোস্টারে শোভা পেলেও বাস্তবে তা’ নেই। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই আখ চাষ করিনি। আখের জমিতে আলু রোপণ করেছি।

রংপুর জেলা কৃষক সমিতির সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কোন সরকারই মিলটি সচল রাখার বিষয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং তা’ বন্ধ করার বিষয়ে যথেষ্ঠ আগ্রহী ছিল। কেননা এরশাদ সরকার শ্যামপুর সুগার মিলকে হোল্ডিং কোম্পানীতে রূপান্তর করার চেষ্টা চালিয়েছে। খালেদা জিয়ার সরকার তা বিরাষ্ট্রীয় করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সর্বশেষ হাসিনা সরকার মাঠে পর্যাপ্ত আখ রেখে মিলটি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মিলটি চালুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত আখ রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। অথচ মিল কর্তৃপক্ষ এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছে আখ রোপণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আখ রোপণ কার্যক্রম চলছে তো মাঠকর্মী কই, সার-বীজ কই।

মিলের ভারপ্রাপ্ত মহা ব্যবস্থাপক(কৃষি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপণে আখ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মিলের কার্যক্রম চালুর কথা জানানো হয়েছে। একারণে শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিলের কাছে একটি প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছিল। যথাসময়ে সেটি প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ফিড ব্যাক পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, চাষীদের মাঝে সার-বীজ সরবরাহের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা’ এখনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এছাড়া এসব মনিটরিংয়ের জন্য যে জনবল থাকা প্রয়োজন বর্তমানে সেটিও নেই। তিনি আরো বলেন, এ মুহুর্তে অর্থ ও জনবল বরাদ্দ করা হলেও সামনের বছরে আখ মাড়াই করা সম্ভব হবেনা। কারণ জমিতে আখ রোপণের পাশাপাশি কারখানা মেরামতের প্রয়োজন। ৬ মাসের মধ্যে কারখানা হয়তো মেরামত করা সম্ভব হবে। কিন্তু জমির অভাবে প্রয়োজনীয় আখ উৎপাদন করা সম্ভব হবেনা।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews