দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে নীলফামারীর ডিমলায় মিছিল-বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ”ধর্ষকের ফাঁসি চাই,, ”নারী নির্যাতন বন্ধ কর,, ”বিচারহীনতার সংস্কৃতি মানি না,, ”উই ওয়ান্ট জাস্টিস,, বিভিন্ন স্লোগানে মূখর করে তোলেন পুরো এলাকা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার বিজয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এর আগ জেলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় চত্বরে এসে জড়ো হয়। এ কর্মসূচিতে বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডসহ নতুন বাংলাদেশে কেউ যেন আর ধর্ষণের শিকার না হন, সেই দাবি জানান।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, যে নারীরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় সামনে থেকে ভূমিকা রেখেছেন, অভ্যুত্থানের পর দেখা যাচ্ছে, তারা ঘরে ও ঘরের বাহিরে নিরাপদ বোধ করছেন না। রাষ্ট্র তার নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। শহীদ মিনারে ফুল কুড়াতে গিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। নারী তাঁর কর্মস্থলে ইভটিজিং, ধর্ষণের শিকার হন। রাস্তায়- বাসে ধর্ষিত হন। কোথাও তারা নিরাপদ নন। ডিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তসলিমা আকতার বলেন, আজ স্কুলে এসে আমরা বাড়ি ফেরার জন্য উদ্বিগ্ন থাকি।
সমাবেশে বিচারহীনতাকেই ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার জন্য দায়ী উল্লেখ করে ধর্ষক ও নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান ডিমলা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোরছালিন ইসলাম।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান বলেন, নতুন বাংলাদেশে নারীরা কোথায়? নারীর নিরাপত্তা কোথায়? একের পর এক এই ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে। গত ১৬ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা দেখেছি। কিন্তু ৫ আগস্টের পরও এই ঘটনাগুলো বারবার ঘটছে। জুলাইয়ে নারীরা এসবের জন্য কি সামনে থেকে আন্দোলন করেছিলেন? এছাড়া সমাবেশে বক্তারা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে থেকে চা- পানের দোকান উচ্ছেদেরও দাবি জানান।