মোঃ সিফাত রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সড়কের পাশে একটি নির্জন স্থানে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় তাদেরকে। কিন্তু কোন সুরাহা না করেই ছেলেকে ছেড়ে দিলে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। বারবার থানায় অভিযোগ দিতে দিলেও অভিযোগ না নেয়ায় এবার আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায়।
জানা যায়, গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন জোড়া ব্রীজ এলাকায় সড়কের পাশে নির্জন স্থানে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। থানায় এসে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়া হলেও রাতে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরদিন সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কোন সুরাহা ছাড়াই তাকে ছেড়ে দেয় গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। এরপর দফায় এনিয়ে অভিযোগ করতে গেলেও তা আমলে নেয়নি পুলিশ।
আটককৃত যুবক গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. আসাদুল (২২)।
ওই স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক আসাদুল। গত এক বছরের সম্পর্কে তাকে বিভিন্ন নির্জন জায়গায় ও পার্কে ঘুরতে গিয়ে গভীর সম্পর্কে জড়ায় তারা। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরে জোড়া ব্রীজের কাছে ডেকেছিল। স্কুলছাত্রী বলেন, এমন ঘটনা ঘটার পরেও থানা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর কোন সুরাহা না হলে আমি আত্নহত্যা করব৷
স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল আসাদুল। এখন আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেয়ে অস্বীকার করছে সবকিছু। পুলিশের কাছে এসেও কোন বিচার পাচ্ছি না। অভিযোগ দিতে আসলেও নিচ্ছে না।
অভিযোগ উঠেছে, গোমস্তাপুর থানা পুলিশ অভিযুক্ত যুবক আসাদুলকে পরিবারের নিকট ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ম্যানেজ হওয়ার পরই তাকে ছেড়েছে। এনিয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীন বলেন, মেয়ের পরিবারের দাবি বিয়ের। কিন্তু তার বয়স কম। অভিযোগ না নেয়ার কোন কারন নেই। অভিযোগ নেয়া হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।