নিত্যপণ্যর ঊর্ধ্বগতির বাজারে শীতকালীন সবজি ফুলকপি মিলছে মাত্র ৮০ টাকা মন বা ২ টাকা কেজিতে । বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অন্যতম বড় হাট মহাস্থানগড়, সেখানে পাইকারি সবজির দর নেমেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে । নীরবে কাদছে ফুলকপি চাষিরা ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কথা হয় ফুলকপি চাষি সামছুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে খরচ ২০ হাজার টাকা আর উৎপাদন হয় প্রায় ৭০ মন । চলতি বছর প্রতি মন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা । এতে কেজিতে পরছে ২ টাকা । এবার বড় ক্ষতিতে পরেছি।
গত বছর বিক্রি করেছিলাম ১১০০- ১২০০ টাকা মন তাতে লাভ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা ।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে দোকানিরা ফুলকপি বিক্রি করছে ৮-১০ টাকা । এতে তারা লাভবানও হচ্ছে বেশ ।
আরেক পাইকারি বিক্রেতা অসিম বলেন, প্রতি বিঘায় খরচ ২০-৩০ হাজার টাকা আর বিক্রি করছি ১৫ হাজার টাকা । এবার বাজারে রেকর্ড কম দাম। কখনই এমন দেখি নাই।
অপরদিকে বাঁধাকপির বাজারেও ধ্বস । কৃষক আলম জানান, গতবছর বিক্রি করেছিলাম ২০-২৬ টাকা । এবার পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা । আর খুচরা ১২-১৫ টাকা । প্রতি কেজি বাঁধাকপির উৎপাদন খরচ পরে ৫-৬ টাকা।
কৃষিবিদ সাব্বির হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ফুলকপির উৎপাদন বেশি হয়েছে । এটাও দাম কমার কারন হতে পারে।