বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের কৃষ্ণপুর এলাকায় আজ শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র ১৯ বছর বয়সী মারুফ হাসানের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। ধর্মকামের ছায়েদ আলীর এই তরুণ ছেলেটি তার পরিবারের স্বপ্নের আলো ছিল, কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে এক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারুফ রাস্তার পাশে গাড়ি সার্ভিসিংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মহাসড়কে চলমান সংস্কার কাজের কারণে একটি লেন বন্ধ থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেই দ্রুতগতির একটি কোচ, অন্য গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে, নিরীহ মারুফকে ধাক্কা দেয়। সজোরে ধাক্কায় মারুফ গুরুতর আহত হন। তড়িঘড়ি তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, আর সেই সংবাদে পরিবারের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মারুফের পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন একজন পরিশ্রমী তরুণ, যিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার এই অকাল প্রয়াণ শুধু তার পরিবার নয়, পুরো এলাকার মানুষের হৃদয়ে গভীর আঘাত হেনেছে। স্থানীয়রা জানান, মারুফের হাসিমুখ আর কখনো দেখা যাবে না, এই কথা মেনে নেওয়া তাদের জন্য অসম্ভব কঠিন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন জানান, মারুফের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কোচটি শনাক্ত করতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।