1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে মহিলাদলের নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন  - Daily Bogra Times
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শেরপুরে মোটরসাইকেল ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত, আহত এক ভূরুঙ্গামারী  উপজেলার সব সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন  ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু শেরপুরে মহাসড়কে উল্টোপথে যানবাহন, বাড়ছে মিত্যু ঝুঁকি জয়পুরহাটে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইফতার মাহফিল সৌদিতে ২৯ রমজানে ঈদের চাঁদ : কুয়েতের বিজ্ঞান কেন্দ্র সিরাজগঞ্জে দেয়াল ধ্বসে দুই নির্মান শ্রমিক নিহত হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ মান্দায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন, পাবে ৪৫ হাজার ২২৫ জন শিশু

রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে মহিলাদলের নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন 

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:  -
  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ২৫ Time View
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে মহিলাদলের নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন 
print news

রাজশাহী: রাজশাহীতে যুব-লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করানোর জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয় সংঘর্ষ যা রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষ চলাকালে দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া, গুলি ছোড়া সহ ককটেল বিস্ফোরণ ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে একটি মোটরসাইকেল সংবাদ সংগ্রহে আসা সাংবাদিকের। এছাড়াও ঘটনায় পুলিশের নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) একজন সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে হাসপাতাল থেকে ফিরে রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর মিয়াপাড়া এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন মহিলাদলের সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নেত্রী লাভলী খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচারে আগে তারা বাড়িতে থাকতে পারেননি। স্বাধীন দেশে আমার বাসায় হামলা হবে সেটা কল্পনাও করিনি। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ বাবুকে এক বাসার ফ্ল্যাটে উঠতে দেখে ভবন ঘেরাও করা যার ফলে তার ভাই সাব্বিরকে পুলিশে তুলে দেওয়ায় বিএনপির সাবেক নেতাদের লোকজনই তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, কাল বাসা ঘেরাও করার সময় মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মারুফ হোসেন জীবন তাকে প্রস্তাব দেন যে, তাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে তিনি যেন এটা নিয়ে ঝামেলা না করে সবাইকে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপর আজ সন্ধ্যায় তার বাসায় ইফতার নিয়ে আসে জীবনের অনুসারী তখন আ.লীগের টাকার ইফতার নিবোনা বলে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তার বাসায় হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন লাভলী।

লাভলি বলেন, হামলার আদেশদাতা মিলু সেটা পালন করতে তার ভাতিজা জীবন তার অনুসারী আমিন, সানি , উজ্জ্বল, মনির, মাইনুল ,আ.লীগের নেতা জলিল সহ ভাড়া করা সন্ত্রাসী ও টোকাই বাহিনী পাঠিয়ে হামলা শুরু করে। যেই ৫ লাখ টাকা আমি ফিরিয়ে দিয়ে বাবুর ভাই সাব্বিরকে আটক করিয়েছি সেই টাকার কিছু অংশ বাবু এদের দিয়ে এছাড়া তাদের কথা না শুনে তাদের সন্মান ভঙ্গের জন্য আমার বাসায় এমন হামলা বলে দাবি করেন লাভলি। যেই হামলায় লাভলির মেয়েকে আল্লাহ হাতে ধরে বাঁচিয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের নীরবতা দেখে আমি অবাক এরা এখনও আ.লীগের দোসর হয়ে আছে তারা। আমি ফোনের পর ফোন দিয়ে প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশ আমার বাসায় আসেনাই কিন্তু তারা মোড়ে এসে চা খাচ্ছে তারা আসলে আজ আমি বাসা ছাড়া হতাম না। ছাত্র সমন্বয়কদের ফোন করায় তারা এসে আমায় উদ্ধার করে নয়তো আজ আমি হয়তো থাকতাম না।

জীবনের চেম্বার ভাঙচুরের আর দুই গ্রুপের সংঘর্ষ কেনো আর সেটা কারা করেছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লাভলি জানিয়েছে, আমি ছাত্র-জনতার উপড়ে গুলি চালানো আ.লীগের নেতাকে ধরিয়ে দিয়েছি এমন কাজে জীবন আর মিলুর মত দালাল খুশি না হয়ে আমার বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, আগুন দেওয়ার মত জঘন্য কাজ করায় বিএনপির জাতীয়তাবাদী আদর্শে চলে এমন রাজশাহীতে অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ রয়েছে তারাই করেছে শুনেছি। তারা কারা জানিনা কারণ আমি তখন আমি আমার বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে সেখানে আমিও কিছু সময় অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম বলে জানিয়েছে। এছাড়া তিনি সকালে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে মামলা করবো বলে জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইয়াহিয়া মিলু ও মারুফ হোসেন জীবনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তারা ধরেননি। তবে সনি মুঠোফোনে কল না ধরে হোয়াসঅ্যাপে করে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লাভলীর ভাই তাঁতী লীগ আর ছেলে যুবলীগ করত। তাদের ধরার জন্য ছাত্রদলের ছেলেরা গিয়েছিল। তারপর মারামারির ঘটনা ঘটেছে যেটাই লাভলির বাড়ী সহ আমাদের যুবদলের জীবন ভাইয়ের চেম্বার ভেঙেছে। ছাত্রদলের কে বা করা আসছিল আর তাদের আপনারা কেন থামালেন না এছাড়াও আপনাদের এলাকায় লীগের নেতা তার ব্যবস্থা আপনারা না নিয়ে সেটা জানতে পারে দূরের ছাত্রদল কিভাবে আসে জিজ্ঞেস করায় ফোন কেটে নেট করে দেই।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন থমথমে আছে। আমার জানা মতে থানায় মামলা করতে কেউ আসেনি। মামলা হলে তদন্ত শুরু করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews