বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
খন্দকার মোশাররফ আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই জনআকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি এই দাবি উপেক্ষিত হয়, তবে জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, পূর্বের প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষা করা হলে বিএনপি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে জানিয়েছিলেন, নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে, যা বিএনপির দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিএনপির এই দাবি এমন সময়ে এলো যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত ৬ মে লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরেছেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতি সঞ্চার করেছে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দ্রুত নির্বাচনের দাবিকে আরও জোরালো করবে।
এদিকে, স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।