1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
স্কুলে আসতে ভালো লাগে না, খোলা মাঠে চলছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান - Daily Bogra Times
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বগুড়ার শেরপুরে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীদের মাঝে ৪৬ টি গরু বিতরণ ১০ লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে পানি দিচ্ছে বিএমডিএ জয়পুরহাটে নাগরিক সমাজ সংগঠনের ত্রৈ-মাসিক গণতান্ত্রিক সংলাপ বসতবাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে উধাও মহাদেবপুরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ ছাত্র ইউনিয়ন সরকারি আজিজুল হক কলেজ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত সরকারে থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন : যশোরে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ  ৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধীতা এখনও ষড়যন্ত্র করছেন : পাবনায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মশাল প্রজ্জ্বলন করে তিস্তা বাঁচানোর দাবি জয়পুরহাটে হোটেল ও রেস্তোরা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

স্কুলে আসতে ভালো লাগে না, খোলা মাঠে চলছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান

মাসুদ রানাঃ-
  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৩ Time View
স্কুলে আসতে ভালো লাগে না, খোলা মাঠে চলছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান
print news

পাবনা প্রতিনিধি:- পাবনার চাটমোহর উপজেলার বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে পাঠগ্রহণ করছে দ্বিতীয় শ্রেণির বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ক্লাস চলাকালীন রুপা খাতুন নামের শ্রেণি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করছিলেন, ‘স্কুলে এসে কেমন লাগে, ক্লাস করতে কেমন লাগে?’ সঙ্গে সঙ্গেই সব শিক্ষার্থী বলে ওঠে, ‘স্কুলে আসতে ভয় লাগে’! 

এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার ভয় গ্রাস করেছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, এমন ভয় গ্রাস করছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যেও। যে কারণে বছরের শুরুতে পাঠগ্রহণে আগ্রহ হারাচ্ছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। 

প্রতিদিনই শিক্ষকরা বাড়ি থেকে স্কুলে ডেকে আনছেন শিক্ষার্থীদের। আর অনেকটা বাধ্য হয়েই স্কুলের খোলা মাঠে পাঠদান দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে দীর্ঘসময় রোদের আলোয় বসে পড়ালেখা করতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে। অনেকেই হচ্ছে অসুস্থ।

পাঠদান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই স্কুলের শিক্ষকদের। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও স্কুলের নতুন ভবন তৈরির ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। শুধু কী তাই, স্কুলটি রাস্তা সংলগ্ন হওয়ায় প্রায়শই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। অতিসম্প্রতি আহত হয়েছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

স্কুল সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭১ সালে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ৯৩ নম্বর বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এরপর সেখানে তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন তৈরি হয়। 

২০১৩ সালে জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে স্কুলে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রতিদিনই শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে খুলে পড়ে পলেস্তারা। জানালা-দরজারও অবস্থাও বেহাল। শৌচাগারের অবস্থাও শোচনীয়।

বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দুই শিফটে পাঠগ্রহণ করে থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় সিঁড়ি ঘরের ছোট্ট কুটুরির মধ্যে গাদাগাদি হয়ে ক্লাস করে শিশু শিক্ষার্থীরা। আর ভাঙ্গাচোরা এবং ভবনের বেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা থাকেন আতঙ্কে।

দ্বিতীয় শ্রেণির শান্ত, ইছা, স্বপ্না, রুপাইয়া নামে কয়েকজন শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে বলে, ঘরের মধ্যে (শ্রেণিকক্ষ) বসতে ভয় লাগে। মাঝে মধ্যেই সিমেন্টের স্তূপ খুলে পড়ে। গরমের দিনে ফ্যান চালানো যায় না। আবার শীতের দিনেও রোদের মধ্যে বেশি সময় ধরে ক্লাস করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়।

বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম স্বপন বলেন, স্কুল ভবনটা অনেক পুরোনো। তারপর শ্রেণিকক্ষ সংকট তো রয়েছেই। বার বার উপজেলা শিক্ষা অফিসে একটি ভবন ও প্রাচীরের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে স্কুলে শিক্ষার্থী ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই স্কুলের ভবনের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি লিখিত আকারে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews