1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
উল্লাপাড়ায় আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগে, সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ - Daily Bogra Times
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উত্তরাঞ্চলের কলা রাজধানী নয়মাইল হাট, সপ্তাহে বিক্রি ২০ লক্ষ টাকা বগুড়ার ৭ উপজেলা সড়ক দুর্ঘটনার হটস্পট ধান কেটে আলুর মাঠে কৃষক, আগাম আলুর সঙ্গে নতুন প্রত্যাশা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে শেরপুরে এএমআর সচেতনতা কর্মসূচি শেরপুরে চেম্বারে ঢুকে হামলা, ডাক্তারের হাতে ডাক্তার আহত! শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল হেলপারের শেরপুরে নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের শুভেচ্ছা মেধার লড়াইয়ে শীর্ষে শেরউড, এইচএসসি ফলাফলে মিশ্র ছবি শেরপুরে শেরপুরে নতুন ইউএনও মনজুরুল আলমের দায়িত্ব গ্রহণ দুর্নীতির দায়ে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

উল্লাপাড়ায় আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগে, সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

হাফিজুর রহমান হাফিজঃ-
  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৩০ Time View
উল্লাপাড়ায় আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগে, সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
print news

উল্লাপাড়া সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানোর
জন্য প্রতিষ্ঠানের সুপারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম
শামসুল হক এই কারণ দর্শানো পত্র প্রদান করেন। এই পত্রটি বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা সুপার পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে
আয়া রতœা খাতুন ও নৈশ প্রহরী নাঈম হোসেন ক্লাস নিয়ে আসছেন। সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন পত্র
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে ওই মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিনকে কারণ
দর্শানো পত্রটি প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে প্রতিষ্ঠানটির নৈশপ্রহরী নাঈম হোসেন ও আয়া রতœা খাতুন বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে এই
মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষক নেই। ফলে তাদেরকে দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নিয়মিত বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ক্লাস
করানো হয়।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কারণ দর্শানো পত্রটি পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, তার মাদ্রাসায় শিক্ষক সংকটের কারণে নিরুপায় হয়ে তিনি নৈশপ্রহরী ও আয়া দিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য
হয়েছেন। শিক্ষক না থাকার কারণে এবতেদায়ী ও মাধ্যমিক শাখায় ক্লাস শুরু হলে প্রথম ঘন্টা থেকেই দুটি ক্লাস ফাঁকা
থাকে। এ কারণে নৈশ্য প্রহরী ও আয়াকে দিয়ে পাঠদান করানো হতো। আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়া অনিয়ম
স্বীকার করে সুপার শফিক উদ্দিন বলেন, আয়া রতœা খাতুন বি এ পাস। তিনি শিক্ষার্থীদের খুবই ভালো পড়ান।
শিক্ষার্থীরাও তার ক্লাস করতে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে শিক্ষক পাওয়া গেলে রতœা বা নাঈম কখনই আর ক্লাসে
পাঠানো হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম শামসুল হক বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে কারণ
দর্শানো নোটিশ দেবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ পত্র পত্রিকায় এ ব্যাপারে সংবাদ
প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষক সংকট থাকলেও নৈশপ্রহরী বা আয়াকে দিয়ে ক্লাস করানোর কোন নিয়ম নেই এবং ওই
প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কেন কম সে বিষয়েও ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews