বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মোট ৩,৬৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ৩,০৮৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। গড় পাসের হার ৮৫.১৩%। তবে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা মাত্র ৫২৩ জন, যা সামগ্রিক ফলাফলের তুলনায় কিছুটা হতাশাজনক। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে:
শেরউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ: ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২২ জন পাস করেছে (পাসের হার ৯৯.৫৫%)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৫ জন, যা জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করেছে।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ: ২৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪১ জন উত্তীর্ণ (পাসের হার ৯৯.৫৯%)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৯ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বিশালপুর উচ্চ বিদ্যালয়: ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে (পাসের হার ১০০%) এবং ৬টি জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
তালতা উচ্চ বিদ্যালয়: ৬০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে (পাসের হার ১০০%), তবে কোনো জিপিএ-৫ নেই।
ধনকুন্ডি শাহনাজ সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়: ৮৩ জনের মধ্যে ৮২ জন উত্তীর্ণ (পাসের হার ৯৮.৮০%)।
কিছু প্রতিষ্ঠানের ফলাফল হতাশাজনক হলেও, উপরোক্ত বিদ্যালয়গুলোর উচ্চ পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি উল্লেখযোগ্য সাফল্য প্রদর্শন করেছে।
অন্যদিকে, ভোকেশনাল শাখায় মোট ৩১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ২৪৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। গড় পাসের হার ৮০.০০%। তবে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা মাত্র ৫ জন, যা অত্যন্ত নগণ্য। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে:
শালফা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ: ১২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৯ জন উত্তীর্ণ (পাসের হার ৮১.৮২%) এবং ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শেরপুর ইউনিভার্সাল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ: ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জন উত্তীর্ণ (পাসের হার ৮১.৮২%)।
শেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।