শেরপুর, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে বাজারে গিয়ে এখন ক্রেতাদের চোখে-মুখে শুধু হতাশা। টানা বৃষ্টি, উৎপাদন কমে যাওয়া আর সরবরাহ সংকটে নিত্যপণ্যের দাম যেন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ‘ঝাল’ লেগেছে কাঁচা মরিচের দামে—প্রতি কেজি এখন ৩২০ টাকা!
শনিবার (৪ অক্টোবর) শেরপুরের রেজিস্ট্রি অফিস বাজার, বাসস্ট্যান্ড বাজার ও বৈকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মরিচ, টমেটো, বেগুনসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম চড়া। ৫০০ টাকায় এখন আর কোনো ক্রেতাই হাতভর্তি বাজার নিয়ে ফিরতে পারছেন না।
এক ক্রেতা বলেন, “এখন বাজারে গেলে ৫০০ টাকায় কিছুই কেনা যায় না। শুধু মরিচই ৩০০ টাকার ওপরে, সবজি কিনতেই পকেট খালি হয়ে যায়।”
প্রতি কেজি মরিচ ৩২০ টাকা ছাড়াও—
বেগুন ১২০, সিম ২৪০, দেশি করলা ১০০, ফুলকপি ১৩০, টমেটো ১৬০, গাজর ১৬০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়স ৮০, পটল ৬৫–৭০, আর বই কচু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকেই সবজির দাম উর্ধ্বমুখী, ফলে খুচরায়ও দাম বাড়ছে।
চাল, পেঁয়াজ-মাছেও বাড়তি চাপ, পেঁয়াজ ৭০, আলু ২০–২৫, আদা ১৪০, রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি—২৫ কেজি কাটারিভোগ ১৮০০ টাকা, মিনিকেট ১৬০০ টাকা।
মাছের দামেও লেগেছে বাড়ার হাওয়া—রুই ৩২০–৩৫০, কাতল ৩৮০, পুটি ১৬০, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়।
ডিম হালি ৪২ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২৪০, সোনালি ২৭৫, গরুর মাংস ৬৫০ ও খাসি ১০৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক বিক্রেতা বলেন, “টানা বৃষ্টিতে মরিচ ও অন্যান্য সবজির ক্ষতি হয়েছে। পাইকারি বাজার থেকেই দাম বেশি, তাই আমাদেরও খুচরায় বেশি নিতে হচ্ছে।”
এক কৃষক জানান, “ভারী বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে মরিচ, বেগুন, শসার গাছ নষ্ট হয়েছে। ফলন অর্ধেক কমে গেছে। সরবরাহ না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে।”
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবজির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বাজারে এই সংকটের সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন।