ঢাকা, ৭ মে ২০২৫: চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তাঁর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে নতুন করে চাপ তৈরি করবে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন অসুস্থ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক অঙ্গনে তৎপরতা বাড়াবে এবং বিরোধী শিবিরকে সংগঠিত করতে সহায়তা করবে।
এদিকে কাতারভিত্তিক আল জাজিরাও এক প্রতিবেদনে বলেছে, লন্ডনে চিকিৎসার পর বেগম জিয়ার দেশে ফেরার ঘটনা নির্বাচনের নির্ধারিত সময় ঘোষণার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের জন্য এটি এখন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
ভারতের টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া শিরোনাম করেছে, “যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।” প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিরোধী দলগুলোর মধ্যে এক নতুন আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে তার ফেরা ঘিরে।
বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, “ম্যাডামকে ফিরে পেয়ে আমরা উজ্জীবিত। তিনি আমাদের শক্তি ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আবারও তার নেতৃত্বের প্রয়োজন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন এক মেরুকরণ শুরু হতে পারে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন আরও সক্রিয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।