1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ - Daily Bogra Times
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শেরপুরে জামাত নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি: ২০ লাখ টাকার সম্পদ লুট, অচেতন নবজাতকসহ পরিবারের সদস্যরা শেরপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলো ভবানীপুর ইউনিয়ন একাদশ বাঙালি ও করতোয়া নদীর ভাঙনে শেরপুরে বিলীন হুমকিতে ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বগুড়ার শেরপুরে জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননার প্রতিবাদে শ্রমিকদলের বিক্ষোভ ও সমাবেশ করোতোয়া নদীতে গোসল করতে নেমে শেরপুরে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু বগুড়ার শেরপুরে বৃদ্ধের আত্মহত্যা বগুড়ার শেরপুরে মোটরসাইকেলে আগুন, নারীসহ একজন গ্রেফতার শেরপুরে বিডি ক্লিনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান: পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে শেরপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা ভলকার তুর্ক ‘মার্কিন-ইউরোপীয় এজেন্ট’- ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের অভিযোগ

ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)ঃ
  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
  • ১১৩ Time View
ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ
print news

জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)ঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (টিসিএফ) রুহুল মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও পতিত আ,লীগ সরকারের  নিয়োগ পাওয়া ডিলারদের পুনর্বাসনসহ প্রকাশ্যে অর্থ বাণিজ্য, ব্যাপক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির  (ওএমএস) আওতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৪২জন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। ডিলার নিয়োগের সময় অধিকাংশ ডিলার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পথ পদবীর নেতা ও আওয়ামীপন্থীদের ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে আওয়ামীলীগের পদ পদবীতে থাকা অনেক ডিলার মামলার আসামী হয়ে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আর এতে ঝুঁকিতে পড়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগায় ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক। গুঞ্জনরটে আগামীপন্থী অধিকাংশ ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা হবে! ইতিমধ্যে হাসানুর রহমান শাহ নামে একজন ডিলারের মৃত্যু ঘটে এবং ৪ জন ডিলার উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির শীর্ষস্থানীয় পদে থাকায় গ্রেফতারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। 

অভিযোগ রয়েছে, ইতিপূর্বে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের সময় ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ঘুষ-বানিজ্য করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক। বর্তমানেও তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পথ পদবীতে থাকা ও আওয়ামীপন্থী ডিলারদের পুনর্বাসন করার জন্য প্রতিজন ডিলারের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ বাবদ আদায় করেছেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেকের ঘুষ বাণিজ্য ও অপকর্মের বিষয়ে ডিমলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রচার করে। তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলার মুখপাত্র রাশেদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পতিত আওয়ামী লীগ  সরকারের নেতাদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানেও তিনি ডিমলা উপজেলার পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। 

উপজেলার ঝু্নাগাছ চাপানি ইউনিয়ন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আব্দুস সালাম, মনিরুজ্জামান মানিক, কনেশ্বর রায় ও শফিউদ্দিন মানিকসহ অনেকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন। তাছাড়া নতুন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনের নিকট থেকে ১ লাখ এবং মার্চ মাসে আরো ৫৫ হাজার টাকা হাওলাদের কথা বলে হাতিয়ে নেন তিনি। 

এছাড়া উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিয়োগের কথা বলে বন্দর খগাখড়িবাড়ি গ্রামের নওয়াব আলীর কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে (নগদ) নম্বরে ১৫ হাজার ও নিজহাতে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার, তিনি রংপুরে আছেন, সেখান থেকে ফিরুক। স্যারের সাথে কথা বলে আমার বক্তব্য জানাবো। তবে আমাকে একটি মহল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। 

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ আতিকুল হকের সাথে এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews