তীব্র তাপপ্রবাহে বগুড়ার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে গত বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রেণিকক্ষে অসহ্য গরম এবং স্কুলে যাতায়াতের সময় তীব্র রোদ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে। তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বহু শিক্ষার্থী, যা শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বগুড়া শহর ও শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে দেখা গেছে, গরমে শিক্ষার্থীরা হাঁসফাঁস করছে। অধিকাংশ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় শ্রেণিকক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সময়কালে রোদের প্রখরতা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে কষ্টকর।
শেরপুরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া আক্তার জানায়, “ক্লাসে এত গরম লাগে যে একদম মন বসে না। জামাকাপড় ভিজে চুপচুপ হয়ে যায়, আর জলের বোতলও কখন শেষ হয়ে যায় বুঝতে পারি না।” অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতার শিকার হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
বগুড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে কোনো নিম্নচাপ না থাকার কারণে শুষ্ক ও উষ্ণ বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তিনি আশার বাণী শুনিয়েছেন, আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি বয়ে আনতে পারে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিক করে বলেন, এই তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। আমরা তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।