দেশের বিদ্যুৎ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে এবং ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি সহজ করতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বাস্তবায়ন করছে “বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন প্রকল্প”। এই উদ্যোগের আওতায় বৈদ্যুতিক টাওয়ার স্থাপন ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণে কৃষিজমি ও ব্যক্তিগত জমি ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া:
বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ এবং বিদ্যুৎ বিধিমালা ২০২০ এর বিধি ১০, উপ-বিধি (৪), দফা (ছ) অনুযায়ী বগুড়া জেলা প্রশাসন একটি নোটিশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিপূরণ দাবি করতে জমির মালিকদের ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মালিকানার প্রমাণ জমা দিতে হবে।
প্রকল্পের গুরুত্ব:
পিজিসিবি জানিয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য হবে। এটি শিল্পকারখানা এবং সাধারণ গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্বচ্ছতা ও অর্থায়ন:
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার এবং দ্রুত অর্থ হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০১৯ সালে অনুমোদিত এই প্রকল্পটি ভারতীয় এলওসি-২, বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি’র যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪,৩২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।