
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহোদর নিহত হয়েছেন। শেরপুর উপজেলার বনমরিচা গ্রামের মোঃ আকাশ (২৫) ও মোঃ আরিফ (২১) নামে এই দুই ভাই অসুস্থ মাকে হাসপাতালে দেখে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। একই ঘটনায় তাদের মামাসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে শাজাহানপুরের মাঝিড়া ইউনিয়নের প্রয়াস স্কুলের সামনে পাকা হাইওয়েতে একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা দেয়। এই ধাক্কায় আকাশ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফসহ অন্যরা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে হায়দার আলী (৫০), আব্দুল আজিজ (৩৮) ও পলাশ (৩৫) বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই আল-আমিন ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় জড়িত সিএনজিটি তাদের হেফাজতে রয়েছে।
নিহত দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে তাদের পরিবার ও বনমরিচা গ্রামবাসী শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার ও সড়ক নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

এর পরে, বগুড়ার বেতগাড়ি এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে একটি বাসের চাকা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে, যার ফলে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বনানী বাইপাস এলাকায় রংপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের পেছনের চাকা হঠাৎ বিস্ফোরিত হলে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি প্রথমে হাইওয়ে পুলিশের একটি টহলযান (মাইক্রোবাস) ধাক্কা দেয়। এরপর সামনে থাকা দুটি সিএনজি ও একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। শেষে মহাসড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে বাসটি থামে।
এই ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ ৭ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে শাকিল, রেশমী, দোলেনা, সালমা ও মোকছেদুলের নাম জানা গেছে। বাকি দু’জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হয়নি। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।