আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ায কাযমীর রহমান জানান, “চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে আমরা আগে থেকেই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। মাঠপর্যায়ে লবণ সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদানসহ প্রতিটি ইউনিয়নে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক মনিটরিংও করা হচ্ছে।”। কসাইদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পশু জবাইয়ের স্থানসমূহ পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, উপজেলায় ০৭ টন লবন পেয়েছি ১৪ টা ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিঙয়ে তাদের চাহিদামত লবন সরবরাহ করা হয়েছে । প্রতিটি গরু/মহিষ জন্য ৮ কেজি করে ও ছগল ৪ কেজি করে বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে শেরপুর পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিক্তিক কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। জীবাণু ও দুর্গন্ধ মুক্ত করার জন্য ১০০ কেজি ব্লিছিং পাউডার ক্রয় করা হয়েছে। এছারাও সড়কে চামরা সংগ্রহ না করে সূনির্দিষ্ট জায়গায় চামরা সংগ্রহের জন্য ব্যবসায়ী ও হাটের ইজারাদারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক সুত্রে জানা যায়, ঈদের পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত জেলার বাইরে কাঁচা চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। শেরপুর উপজেলায় বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং রয়েছে, যেগুলো কোরবানির চামড়া সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর আগে গত ২৫ মে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, চলতি বছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৬০-৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ঢাকায় ১,৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, খাসির চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০-২২ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এ বছর সারাদেশে মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোতে চামড়া সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।