বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কটি এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের নাম। বিশেষ করে প্রতিদিন হাজার হাজার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীকে চরম ঝুঁকি নিয়ে এই ব্যস্ত সড়ক পার হতে হয়। দ্রুতগতির যানবাহন, হর্ন আর বিশৃঙ্খল চলাচলের কারণে এখানকার ধুনট মোড় এবং উপজেলা ইউটার্ন এলাকা দুটি এখন পরিণত হয়েছে এক অনিরাপদ জোনে।
শেরউড ও প্রোগ্রেসিভ স্কুলের মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানায়, আগে এখানে স্পিড ব্রেকার থাকলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ তা তুলে ফেলায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার ক্লিনিকগুলোতে আসা রোগী এবং বয়স্ক মানুষরাও রাস্তা পার হতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন। তাদের অভিযোগ, একটি ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও তা অনেক দূরে থাকায় ব্যবহার করা কঠিন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই ঝুঁকির প্রধান কারণ হলো ছোট যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো লেন না থাকা এবং মহাসড়কের ওপরই অবৈধভাবে তৈরি হওয়া স্ট্যান্ড। এর ফলে যানজট লেগেই থাকে এবং ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল করে।
প্রোগ্রেসিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী পরিচালক রুবেল রানা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে মেয়েরা, প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। এখানে ফুটওভার ব্রিজ, ফ্লাইওভার বা স্পিড ব্রেকারের মতো জরুরি পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম জানান, তারা নিয়মিত অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের জন্য অভিযান চালাচ্ছেন এবং চালক ও পথচারীদের সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে, সড়ক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, তারা এই সমস্যা সম্পর্কে অবগত। সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, তারা খুব শিগগিরই বিশেষ ‘রাম্বল স্ট্রিপ‘ স্থাপন করবে যা গাড়ির গতি কমাতে সাহায্য করবে। ফুটওভার ব্রিজের বিষয়ে তারা বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।