টানা বৃষ্টিতে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বগুড়া ও শেরপুরে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ ও বেগুনের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
শনিবার (১২ জুলাই) শেরপুর পৌরসভার বৈকাল বাজার ও বগুড়ার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছপালা নষ্ট হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে সরাসরি দামে।
বর্তমানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা দামে বিক্রি হওয়া বেগুন এখন ৮০ টাকা কেজি। করলা, শসা ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে, কচুর মুখী ৫০ টাকা কেজি, পটল ৩০ টাকা কেজি। তবে পটলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারে নতুন আসায় পালং শাকের কেজি এখন ৮০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা আটি, কাঁচা পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে—পেঁয়াজ ৫০ টাকা। আলু ২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও যা আরো কমতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের ধারনা। আদা ও রসুনের কেজিপ্রতি দাম ১০০ টাকা, যা আগের মতোই রয়েছে।
মাছের বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি, সিলভার কার্প ও তেলাপিয়া ২০০ টাকা কেজি দরে।
অপরদিকে, বয়লার মুরগির দাম ১৬০ টাকা কেজি, আর দেশি জাতের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। মাংসের দাম গরু ৬৫০-৭০০ ও খাসী ১০৫০-১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা ইনসান হাসান জানান, “টানা বৃষ্টিতে অনেক ক্ষেতেই মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে, দাম বেড়েছে। সামনে যদি আবহাওয়া ভালো না হয়, তাহলে দামের এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে, বাজারে আসা অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করছেন, হঠাৎ করে দাম বাড়ায় মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়েছে। দ্রুত বাজার মনিটরিং ও দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ চেয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০ দিন আগেও বগুড়ার বিভিন্ন বাজারগুলোতে মরিচের কেজি ছিল ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি। যেখানে উৎপাদন খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। এতে দাম নিয়ে কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছিল চরম হতাশা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বগুড়ার সদর, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, শেরপুর, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী উপজেলার উঁচু জমিতে প্রচুর মরিচের আবাদ হয়েছে।