জনস্বাস্থ্য ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লক্ষ ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে ফার্মেসি ও ডেইরি পণ্যের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি, লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা এবং মোড়কজাত নিয়ম না মানার মতো অভিযোগ উঠে আসে।
অভিযানে ৫টি ফার্মেসির বিরুদ্ধে ফিজিসিয়ান স্যাম্পল ঔষধ বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাগ লাইসেন্স, রেজিস্ট্রার ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি এবং ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ঔষধ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জরিমানাপ্রাপ্ত ফার্মেসিগুলো হলো:
রিফা মেডিসিন কর্নার কে ৬,৫০০ টাকা জরিমানা, সিটি ফার্মেসি কে ৮,০০০ টাকা, মেসার্স হক ফার্মেসি কে ৩,০০০ টাকা, মির্জাপুর বাজারের মা মেডিকেল হল কে ১০,০০০ টাকা, মেসার্স মীম ফার্মেসি ১৫,০০০ টাকা। সর্বমোট ৪২৫০০ টাকা।
অপরদিকে, দইয়ের দোকান ও ডেইরী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মোড়কজাত পণ্যে ওজন, পরিমাণ, প্রস্তুতকারকের নাম, উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, সাউদিয়া ডেইরী এন্ড ফুড প্রোডাক্টস মেয়াদোত্তীর্ণ বিএসটিআই লাইসেন্সের ঘি বিক্রির দায়ে জরিমানার মুখে পড়েছে। জরিমানাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
সাউদিয়া ডেইরী এন্ড ফুড প্রোডাক্টস কে বিএসটিআই আইন, ২০১৮-এর ১৫(১)/২৭ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে
২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আব্দুল্লাহ দই ও মিষ্টান্ন ভান্ডার কে ১০,০০০ টাকা, প্রান্ত দধি এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার, ১০,০০০ টাকা, মুসলিমা দই ঘর প্লাস কে ৫,০০০ টাকা, জয় দধি ভান্ডার কে ১০,০০০ টাকা। সর্বমোট ৬০,০০০ টাকা।
অভিযানে ফার্মেসি সংক্রান্ত মামলায় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মরুময় সরকার, সহকারী পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন, বগুড়া। বিএসটিআই ও মেট্রোলজি আইনভিত্তিক মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন মো. শাহানুর হোসেন খান (বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার) ও মো. শাহ আলম পলাশ খান (পরিদর্শক, মেট্রোলজি, বিএসটিআই)।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশিক খান জানান, জনস্বাস্থ্য ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই অভিযান স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে এবং অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।