হাসিনা শাসনের অবসান হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে। শেখ হাসিনার পতন কোনো এক মাসের আন্দোলনের ফসল নয়- এটা ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ফল।” এমন মন্তব্য করেছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

বুধবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাজিপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “একটি চক্র দেশে গণতন্ত্রবিনাশী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তারা আজ বড় বড় কথা বলছে। তাদের হাতে বাংলাদেশ কখনোই নিরাপদ নয়।”

রেজাউল করিম বাদশা বলেন, “গত ১৬ বছরে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, খুন ও গুম করা হয়েছে। পুলিশি হয়রানিতে অনেক নেতা ঘরছাড়া হয়ে থেকেছেন। তারপরও বিএনপি মাঠ ছেড়ে যায়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষকে সাহস জুগিয়ে আমরা আজ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কিছু মহল বিএনপির দীর্ঘ আন্দোলনের সফলতাকে একক কৃতিত্ব হিসেবে দাবি করছে, যা দুঃখজনক। এ আন্দোলন ছিল জনগণের সম্মিলিত প্রয়াস।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ জুয়েল। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধনী ঘোষণা দেন রেজাউল করিম বাদশা।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবুর রহমান হারেজ, বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, মোঃ জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শফিকুল ইসলাম শফিক, আলহাজ্ব শাহ আলম পান্না, হাসানুল মারুফ শিমুল, আমিনুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়, সেখানে স্থানীয়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়।