বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসা থেকে মোট ৯০৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে ৪৯০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে মাত্র ২৪ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় কম।
শেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪২টির বেশি মাদরাসার মধ্যে তিনটি মাদরাসা—নাকুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা (২ জন পরীক্ষার্থী), কল্যাণী বালিকা দাখিল মাদরাসা (১ জন পরীক্ষার্থী) এবং আমইন দাখিল মাদরাসা (৩ জন পরীক্ষার্থী)—শূন্য পাসের হার অর্জন করেছে। এছাড়া, কানুপুর দাখিল মাদরাসা (৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন উত্তীর্ণ) এবং মধ্যভাগ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা (১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন উত্তীর্ণ) খুবই কম পাসের হার দেখিয়েছে।
অন্যদিকে, কাফুরা সমবায় বালিকা দাখিল মাদরাসা ১০০ শতাংশ পাসের হার নিয়ে উপজেলার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। জিপিএ-৫ অর্জনে শীর্ষে রয়েছে বেগম শাহজাহান তালুকদার দাখিল মাদরাসা। তবে বাকি মাদরাসাগুলোর ফলাফল মধ্যমমানের হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় শিক্ষাবিদরা শূন্য পাসের হারের মাদরাসাগুলোর জন্য জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। তারা শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
এই ফলাফল উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা উভয়ই তুলে ধরেছে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুর্বল ফলাফলের মাদরাসাগুলোর উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা।