
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর, সুঘাট ও খানপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল অতি ভারী বর্ষণের কারণে প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা রোপা-আমন ধানের চারা রোপণে বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছেন। জমিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকায় উৎপাদন হ্রাসের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট ২০২৫) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মির্জাপুরের কৃষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “জমিতে এখনও পানি জমে আছে। চারা রোপণের কোনো সুযোগ নেই। বৃষ্টি না থামলে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।” ভবানিপুরের কৃষক রহিম উদ্দিন জানান, “বীজতলা প্রস্তুত থাকলেও জমি শুকাচ্ছে না। পানি না নামা পর্যন্ত চারা রোপণ সম্ভব নয়, যা উৎপাদন কমিয়ে দেবে।”

শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, চলতি বছর রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২২,৩২৫ হেক্টর, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১,৩০০ হেক্টরে চাষ সম্পন্ন হয়েছে। বীজতলা প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১,৩২০ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ১,৩৮০ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর বেশি। একজন কৃষি কর্মকর্তা জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারা রোপণের সময় আছে এবং পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানান, জুলাই মাসে ২৪২ মিলিমিটার এবং আগস্টে এ পর্যন্ত ৪০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “রোপা-আমন ধান চাষের জন্য চারার কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত বীজতলা মজুদ রয়েছে, যা আপদকালীন সময়ে ব্যবহার করা যাবে। কৃষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।”