শারদীয় উৎসবের রঙে রাঙানো শেরপুর। পূজা মণ্ডপে ভক্ত-দর্শনার্থীর আনাগোনা, সড়কে চলছে উন্নয়নের কাজ আর প্রাচীন মন্দিরে লুকিয়ে আছে ইতিহাসের দীর্ঘ অধ্যায়। এই তিন দৃশ্যের মিলনেই শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সফরে এলেন সরকারের উর্ধ্বতন সচিববৃন্দ।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মোঃ সাইফুল্লাহ পান্না, স্থানীয় সরকার সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন। শেরপুর উপজেলা কার্যালয়ে পৌঁছেই তারা পেলেন ফুলেল শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছার উষ্ণতা যেন হয়ে উঠল সফরের প্রথম আবেগময় মুহূর্ত।

এরপর সফরকারীরা যান টাউন বারোয়ারী পূজামণ্ডপে। সজ্জিত প্রতিমা, ঢাক-ঢোলের ধ্বনি আর ভক্তদের ভিড়ে সেখানে তৈরি হয় ভিন্ন এক আবহ। পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে তাদের বরণ করলে মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি। সেদিনের উপলব্ধিতে সচিব মোঃ সাইফুল্লাহ পান্নার কণ্ঠে শোনা গেল ঐক্যের ডাক—
“শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় আয়োজন নয়, এটি আমাদের মিলনমেলা। উৎসবের এই সেতুবন্ধনেই বাংলাদেশ আরও ঐক্যবদ্ধ হোক।”
পরে সচিববৃন্দ পরিদর্শন করেন ব্রাক বটতলা থেকে ভবানীপুর সড়ক। উন্নয়নের অগ্রগতি দেখে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
সবশেষে সফরকারীরা পা রাখেন ঐতিহাসিক মা ভবানীর মন্দিরে। ফুলেল শুভেচ্ছায় ভরে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। প্রাচীন ঐতিহ্যের গল্প শোনেন অতিথিরা, ঘুরে দেখেন প্রধান মণ্ডপ। সেই মুহূর্তে ইতিহাস আর বর্তমান যেন মিশে যায় এক সূত্রে। সেখানে পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডু সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মন্দির উন্নয়নে সহযোগিতা চান। সচিববৃন্দও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
এই নান্দনিক সফরে সাথে ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক খানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।