1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
শেরপুরে রাস্তার কাজে নিম্নমানের খোয়া, সরানোর নির্দেশ - Daily Bogra Times
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উত্তরাঞ্চলের কলা রাজধানী নয়মাইল হাট, সপ্তাহে বিক্রি ২০ লক্ষ টাকা বগুড়ার ৭ উপজেলা সড়ক দুর্ঘটনার হটস্পট ধান কেটে আলুর মাঠে কৃষক, আগাম আলুর সঙ্গে নতুন প্রত্যাশা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে শেরপুরে এএমআর সচেতনতা কর্মসূচি শেরপুরে চেম্বারে ঢুকে হামলা, ডাক্তারের হাতে ডাক্তার আহত! শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল হেলপারের শেরপুরে নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের শুভেচ্ছা মেধার লড়াইয়ে শীর্ষে শেরউড, এইচএসসি ফলাফলে মিশ্র ছবি শেরপুরে শেরপুরে নতুন ইউএনও মনজুরুল আলমের দায়িত্ব গ্রহণ দুর্নীতির দায়ে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

শেরপুরে রাস্তার কাজে নিম্নমানের খোয়া, সরানোর নির্দেশ

নিউজ ডেস্কঃ-
  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৭ Time View
শেরপুরে রাস্তার কাজে নিম্নমানের খোয়া, সরানোর নির্দেশ
print news

শেরপুর (বগুড়া),
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকের বাসভবনের সামনেই সড়ক সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী—এমন অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই নিম্নমানের খোয়া অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শেরপুর উপজেলা গেট থেকে নয়াপাড়া তিনমাথা মোড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পে মোট ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯১ টাকা ব্যয়ে ৬৩৫ মিটার রাস্তা ইটের খোয়া ও পিচ ঢালাই দিয়ে সংস্কার করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায় ‘জান কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু কাজ শুরুর পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ তুলতে থাকেন। নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার সামনের রাস্তা দিয়েই এই কাজ শুরু হয়েছে। অথচ প্রথম শ্রেণির ইট খোয়া ব্যবহারের কথা থাকলেও দ্বিতীয়-তৃতীয় গ্রেডের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।”

আরেক বাসিন্দা রঞ্জু ইসলাম বলেন, “কর্তৃপক্ষ আপত্তি তোলার পর কাজের মান কিছুটা উন্নত হয়েছে। এখন অপেক্ষাকৃত ভালো মানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার পাশে পূর্বে খোঁড়া কাদামাটি ঠিকমতো অপসারণ না করেই তার ওপর বালি ও খোয়া বিছানো হচ্ছে। এতে রাস্তা বসে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। সাবেক কাউন্সিলর শাহাবুল করিম বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী কাদা সরিয়ে বালি দিয়ে কম্প্যাকশন করার পর খোয়া দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা করা হয়নি।”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক অশোক কুমার কুণ্ডু। তিনি বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ দরপত্র অনুযায়ী কাজ করছি। কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই প্রতিটি ধাপের কাজ চলছে।”

অন্যদিকে, অভিযোগের সত্যতা আংশিক স্বীকার করেছেন শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এম এ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঠিকাদারকে তা অপসারণ করে সঠিক মানের খোয়া ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোঃ আশিক খান বলেন, “কাজের গুণগত মান তদারকির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মান ঠিক না থাকলে ঠিকাদার কোনো বিল পাবে না।”

এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি প্রকল্পের টাকায় কাজ হচ্ছে বলে এর প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews