1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
শেরপুরের ভবানীপুর শক্তিপীঠ, ঐতিহাসিক তীর্থস্থান - Daily Bogra Times
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উত্তরাঞ্চলের কলা রাজধানী নয়মাইল হাট, সপ্তাহে বিক্রি ২০ লক্ষ টাকা বগুড়ার ৭ উপজেলা সড়ক দুর্ঘটনার হটস্পট ধান কেটে আলুর মাঠে কৃষক, আগাম আলুর সঙ্গে নতুন প্রত্যাশা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে শেরপুরে এএমআর সচেতনতা কর্মসূচি শেরপুরে চেম্বারে ঢুকে হামলা, ডাক্তারের হাতে ডাক্তার আহত! শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল হেলপারের শেরপুরে নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের শুভেচ্ছা মেধার লড়াইয়ে শীর্ষে শেরউড, এইচএসসি ফলাফলে মিশ্র ছবি শেরপুরে শেরপুরে নতুন ইউএনও মনজুরুল আলমের দায়িত্ব গ্রহণ দুর্নীতির দায়ে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

শেরপুরের ভবানীপুর শক্তিপীঠ, ঐতিহাসিক তীর্থস্থান

এনাম হকঃ-
  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১০৯ Time View
শেরপুরের ভবানীপুর শক্তিপীঠ, ঐতিহাসিক তীর্থস্থান
print news

শেরপুর বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক ভবানীপুর শক্তিপীঠ বর্তমানে হাজার হাজার ভক্তের পদচারণায় মুখরিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পবিত্র তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত এই স্থানটি, বিশ্বাস করা হয় যে দেবী সতীর দেহাংশ এখানে পতিত হয়েছিল। এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং বিভিন্ন উৎসবের কারণে এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত।

ভবানীপুর শক্তিপীঠের ইতিহাস জড়িয়ে আছে অসংখ্য কিংবদন্তির সঙ্গে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘শাঁখা-পুকুর’-এর অলৌকিক কাহিনি। লোককথা অনুযায়ী, এক শাঁখাওয়ালার কাছে শাঁখা কেনার পর এক কিশোরী, যিনি নিজেকে নাটোর রাজপরিবারের রাজকন্যা বলে পরিচয় দেন, টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরে অলৌকিকভাবে পুকুর থেকে দেবী মায়ের হাত উঠে শাঁখা গ্রহণ করলে এই স্থানটির মহিমা ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে এই পুকুর পবিত্র হিসেবে গণ্য হয় এবং ভক্তরা এখানে স্নান করে থাকেন।

mondir sherpur

চার একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই মন্দির চত্বরে রয়েছে মূল মন্দির, চারটি শিব মন্দির, পাতাল ভৈরব মন্দির, গোপাল ও বাসুদেব মন্দির এবং একটি নাটমন্দির। প্রতিদিন এখানে প্রভাতী ও বাল্যভোগ, দুপুরের অন্নভোগ এবং সন্ধ্যায় আরতি অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তরা পূজা দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করেন। ভক্ত সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, “আমি শৈশব থেকে এই মন্দিরে আসি। মাঘী পূর্ণিমার মেলায় পরিবার নিয়ে পূজা দিই। মা ভবানী মানত পূর্ণ করেন, এটি আমার বিশ্বাস।”

বছরজুড়ে এই মন্দিরে বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়। এর মধ্যে মাঘী পূর্ণিমা, শারদীয় দুর্গাপূজা, দীপান্বিতা শ্যামাপূজা এবং নবান্ন উৎসব উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে মাঘী পূর্ণিমার মেলায় হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে, যা স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র সাহা বলেন, “মেলায় বিপুল লোকসমাগম হয়, এতে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হয়। ভক্তদের পদচারণায় এলাকা উৎসবে মুখরিত থাকে।”

এই মন্দিরের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো ‘ক্ষীর তক্তি’ নামক একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা বগুড়ার সীমানা ছাড়িয়ে সারাদেশে জনপ্রিয়।

বর্তমানে মন্দিরটি ভবানীপুর মা ভবানী মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে, যার সভাপতি বগুড়া জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিব শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ভক্তদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews