বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়কের শুভগাছা গ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশা চালক মেহেদী হাসান (২০) গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় চায়না অটোরিকশা চালক মেহেদী হাসান প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার ভাড়ার জন্য বের হয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শেরপুর রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন চাউল হাটি থেকে এক অজ্ঞাতনামা যাত্রী খানপুরের শুবলী যাওয়ার কথা বলে তার অটোরিকশায় ওঠেন।
রাত আনুমানিক ৭টার দিকে শুভগাছা গ্রামে পৌঁছালে চালক মেহেদী প্রস্রাব করার জন্য অটোরিকশা থামিয়ে নামেন। এই সুযোগে পেছন থেকে ওই যাত্রী লোহার রেঞ্চ দিয়ে তার মাথায় অতর্কিত আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও ছিনতাইকারী পুনরায় তার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর মেহেদীর অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মেহেদীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অটোরিকশাটি তিন চাকার চায়না মডেলের, যাতে ৪টি যুবরাজ ইজিবাইক ব্যাটারি লাগানো ছিল এবং গাড়িটির আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে স্থানীয় রজু মিয়া (২৮) ও নজরুল ইসলাম (৫০) সহ একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মইনুদ্দিন জানিয়েছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত ও আটকের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব শাহরিনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং, ছিনতাই ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশি নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।