শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: রাস্তার পাশেই পুকুরের পাড়, তার একপাশে হেলে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি—দেখে মনে হবে, যেন একটু বাতাসেই ভেঙে পড়বে। এমনই ভয়াবহ চিত্র এখন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায়। দীর্ঘ তিন মাস ধরে খুঁটিটি হেলে আছে, অথচ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিদিন চরম আতঙ্ক আর দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ।
সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে মাটি নরম হয়ে খুঁটিটি আরও বেশি হেলে পড়েছে রাস্তার দিকে। তারগুলো এখন নিচের দিকে ঝুলে আছে, যেন একটু অসতর্কতা মানেই বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর দাবি—যে কোনো সময় তার ছিঁড়ে বা খুঁটি ভেঙে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি স্কুল, একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ ওই পথে যাতায়াত করেন। বিদ্যুতের খুঁটির নিচ দিয়ে চলাচল করা এখন যেন একপ্রকার বাধ্যবাধকতা, আর আতঙ্ক তাদের নিত্যসঙ্গী।
গ্রামের তরুণ সমাজসেবক জাহিদ হাসান বলেন, “আমার সন্তানরা পাশের মাদ্রাসায় পড়ে। প্রতিদিন ওদের যেতে হয় খুঁটির পাশ দিয়ে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বিদ্যুৎ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।”

স্থানীয় বাসিন্দা আয়েজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, “তিন মাস ধরে খুঁটিটা হেলে আছে। আমরা বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার জানিয়েছি, কিন্তু কেউ এখনো আসেনি। ভয় নিয়ে চলাচল করতে হয়।”
গৃহবধূ মোসাম্মৎ খালেদা বেগম বলেন, “আমার দুই সন্তান প্রতিদিন স্কুলে যায়। বিদ্যুতের তারের নিচ দিয়ে যেতে হয় দেখে খুব ভয় লাগে। যদি হঠাৎ তার ছিঁড়ে পড়ে, তাহলে কী হবে?”
স্থানীয় যুবক রাশেদ আহমেদ বলেন, “খুঁটিটা এখন এমনভাবে হেলে আছে, ঝড়-বৃষ্টি হলে কখন পড়ে যায় বলা যায় না। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপদ ঘটবে।”
এ বিষয়ে শেরপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি। দ্রুত টিম পাঠিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিটি সোজা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”