শেরপুর/বগুড়া, ১৯ নভেম্বর: নবান্ন মৌসুম শুরু হতেই বগুড়া ও শেরপুরের সবজি বাজারে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষত, বাজারে সদ্য ওঠা নতুন আলুর আকাশছোঁয়া দামে সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা। লাল জাতের নতুন আলু কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার একেবারেই বাইরে। সাদা নতুন আলুও বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা যায়, সীমিত সরবরাহ এবং মৌসুমের শুরুতে ক্রেতাদের মধ্যে নতুন আলুর প্রতি চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বাজারে তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, মাঠ থেকে সদ্য তোলা লাল আলুর পাইকারি দামই পড়ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, ফলে খুচরা বাজারে তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতার বক্তব্যশেরপুর বাজারের বিক্রেতা চান মিয়া দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “নতুন আলু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু চড়া থাকেই। তবে আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যেই দাম কমে যাবে।”

অন্যদিকে, এই অস্বাভাবিক দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। ক্রেতা আব্দুল কাদের আক্ষেপ করে বলেন, “আলু মানে তো গরিবের মাছ-মাংস। সেই আলু ৪০০ টাকা কেজি! আমরা পেনশনের টাকায় চলি, এ দামে কিনব কীভাবে?”
গৃহিণী রহিমা বেগম জানান, “বাচ্চারা নতুন আলু খেতে চায়, কিন্তু ৪০০ টাকা কেজি শুনে আমরা শুধু পাতাকপি আর পেঁয়াজ কিনে ফিরলাম।”
অন্যান্য সবজির বাজারেও ঊর্ধ্বগতিনতুন আলুর পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে লাফিয়ে বেড়েছে:সবজির নামগত সপ্তাহের দাম (কেজি প্রতি)বর্তমান দাম (কেজি প্রতি) সিম ৬০ টাকা ১০০ টাকা, কাঁচা ১৪০ টাকা, শিম-১৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা ১০০ টাকা, করলা ৬০ টাকা ৮০ টাকা, এছাড়াও, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা এবং বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর বাজারও চড়া: ইন্ডিয়ান টমেটো ২০০ টাকা এবং দেশি টমেটো ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে।অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রেতারা।