শেরপুর (বগুড়া)ঃ
বগুড়ার শেরপুর পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজ রোববার সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে তিনি আর বিএনপির ছায়ায় থাকবেন না। “তৃণমূল যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই আমার পথ হবে” এই একটি বাক্যে শেরপুর-ধুনটের রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে শেরপুর পৌরশহরের শহীদ গাজীউর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। কুসুম্বি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম পান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শেরপুর ও ধুনট উপজেলার কয়েকশ’ তৃণমূল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানে আলম খোকা বলেন, “২০২১ সালে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়। আমি বারবার ক্ষমা চেয়েছি, জনসম্মুখে দুঃখ প্রকাশ করেছি। একই অপরাধে অনেকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে হয়নি। আমি আদর্শ থেকে সরে যাইনি। গণ-অভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলনে তৃণমূলের পাশে ছিলাম।”
তিনি দাবি করেন, শেরপুর-ধুনটে বিএনপির মূল শক্তি এখনো তার নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসনে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হলে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মত দেন সভায় উপস্থিত নেতারা।
সভায় বক্তব্য দেন ধুনটের আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর যুবদলের সাবেক নেতা আশেক মাহমুদ, নিমগাছি ইউনিয়নের শাহাদত হোসেন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান প্রমুখ। তারা একবাক্যে খোকার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এই আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে শেরপুর-ধুনটে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর নির্ভর করছে এই এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক ভবিষ্যৎ।